মমিনুল ইসলাম মোল্লা: শিক্ষক, সাংবাদিক ও কলামিস্ট – কুমিল্লার এক নিবেদিতপ্রাণ চিন্তাশীল ব্যক্তিত্ব
স্টাফ রিপোর্ট:
মমিনুল ইসলাম মোল্লা কুমিল্লার দেবীদ্বার উপজেলার একজন প্রগতিশীল শিক্ষক, অভিজ্ঞ সাংবাদিক এবং সমাজসচেতন কলামিস্ট হিসেবে পরিচিত। তাঁর লেখালেখি ও সামাজিক কর্মকাণ্ডে উঠে আসে স্থানীয় ইতিহাস, শিক্ষা, মানবিকতা এবং সাংবাদিকতার প্রতি গভীর দায়বদ্ধতা।
তাঁর সাংবাদিকতা জীবনের সূচনা ঘটে ১৯৮৯ সালে এসএসসি পরীক্ষার পর, যখন তিনি “আমোদ” পত্রিকায় আবেদন করেন। বড় ভাইয়ের উৎসাহে তিনি সংবাদপত্রের প্রতি আগ্রহী হন এবং “নতুন পত্রিকার গন্ধই যেন আলাদা” — এই অনুভূতি তাঁকে লেখালেখির জগতে টেনে আনে। তাঁর প্রথম রিপোর্ট প্রকাশের অভিজ্ঞতা তাঁকে আত্মবিশ্বাসী করে তোলে এবং এরপর থেকে তিনি নিয়মিতভাবে স্থানীয় সংবাদ ও বিশ্লেষণধর্মী লেখা প্রকাশ করতে থাকেন।
একজন শিক্ষক হিসেবে তিনি শুধু পাঠদানেই সীমাবদ্ধ নন, বরং শিক্ষার্থীদের নৈতিকতা, মানবিকতা ও সামাজিক দায়িত্ববোধ গঠনে ভূমিকা রাখেন। তাঁর লেখায় প্রাচীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ঐতিহাসিক তাম্রশাসন, এবং কুমিল্লার গুণাইঘরের বৌদ্ধ ও হিন্দু ঐতিহ্য উঠে আসে, যা তাঁর গবেষণামূলক দৃষ্টিভঙ্গির পরিচায়ক।
সাংবাদিকতার পাশাপাশি তিনি জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার মুরাদনগর উপজেলা শাখার সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। রমজানে আয়োজিত ইফতার মাহফিলে তাঁর বক্তব্যে উঠে আসে সাংবাদিকদের ঐক্য, নৈতিকতা এবং সমাজে ইতিবাচক ভূমিকা রাখার আহ্বান। তিনি বিশ্বাস করেন, “সাংবাদিকদের ঐক্য ও মানবিক দায়িত্ববোধ সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পারে।”
একটি ছাত্র আন্দোলনের সময়, রাস্তায় অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের পানির প্রয়োজন দেখা দিলে তিনি " নিরাপদ চিকিৎসা চাই ' সংগঠনের সিনিয়র সহ-সভাপতি হিসেবে নিজ উদ্যোগে পানি সরবরাহ করেন। এই মানবিক আচরণ স্থানীয়দের প্রশংসা কুড়ায় এবং তাঁর সামাজিক দায়বদ্ধতার পরিচয় দেয়। তিনি বলেন, “মানবতা আগে, রাজনীতি পরে।”
মমিনুল ইসলাম মোল্লার লেখায় কুমিল্লার ইতিহাস, শিক্ষা, প্রশাসনিক কার্যক্রম এবং মানবিক মূল্যবোধের সমন্বয় দেখা যায়। তাঁর জীবন ও কর্ম কুমিল্লার সাংবাদিকতা ও শিক্ষাক্ষেত্রে একটি অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত। তিনি একজন চিন্তাশীল লেখক, যিনি কলমের মাধ্যমে সমাজকে আলোকিত করার চেষ্টা করে চলেছেন।
0 Comments: